ফ্রিল্যান্সিং একটি বিশেষ চাহিদা সম্পুর্ন কাজের নাম। বংলাদেশসহ বিশ্বের প্রায় সকল দেশেই ক্রমগত ভাবে জনপ্রিয় হয়ে উঠতেছে। আর বাংলাদেশ ও সেই সাথে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। বর্তমান বিশ্বে ফ্রিল্যান্সিং এর জগতে বাংলাদেশের অবস্থান বেশ শক্তিশালী হয়ে দাড়িয়েছে।
আজ আমরা নতুন মোবাইন এর এই ওয়েবসাইটে ফ্রিল্যান্সিং এর উপরে বেশি চাহিদাসম্পুর্ন কয়েকটি কাজের সমন্ধে সম্পুর্ন বিবরন সহ আলোচনা করবো। আসা করি নতুনদের জন্য এই পোস্টটি অনেক উপকারী হবে। এই পোস্টের মাধ্যমে নতুনেরা তাদের ক্যারিয়্যারের জন্য শিক্ষা গ্রহন করতে সক্ষম হবে।
ফ্রিল্যান্সিং বেসিক ধারনা
ফ্রিল্যান্সিং এর উপরে নূন্যতম ধারনা না নিয়ে আশা রাখি এই পোস্ট টি পড়তে আসেন নি। আশা করি আগে থেকেই নূন্যতম ধারনাটুকু নিয়েই এই পোস্টের কাজের ধরন সমন্ধে জানতে এসেছেন।
তবেও যদি আপনার একদম ই বেসিক সমন্ধে সম্পুর্ন ধারনা না থাকে, তাহলে আপনি এই বেসিক অংশে সেই ধারনাটুকু পেতে পারেন।
ফ্রিল্যান্সিং হচ্ছে মুক্ত পেশা। যা নিজের মনের ইচ্ছে মতো করার সুবিধা থাকার কারনেই এটি নামকরণ করা হয়েছিল। তবে হয়তোবা এখন এটি একটু ভিন্ন ধারায় পরিনত হয়েছে। কারন যখন কোন মানুষ তার পার্ট টাইম কাজ না নিয়ে এই ফ্রিল্যান্সিং কাজটাকে মূলটাইম কাজের জন্য ধারন করে নেয় তখন এটি আর ফ্রিল্যান্সিং কাজ থাকে না। এটি তখন একটি জব হিসেবে কাজ করে।
ফ্রিল্যান্সিং বলতে বোঝানো হয়, আপনাকে কেউ জব হিসেবে নিচ্ছে না বরং আপনাকে একটি নিদিষ্ট চুক্তির ভিত্তিতে কাজ দিচ্ছে আর সেই কাজের ভিত্তিতে আপনাকে টাকা পেমেন্ট করে দিচ্ছে।
বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এ কোন কোন কাজের চাহিদা বেশি
শুধু বর্তমান চাহিদার উপরে ভিত্তি করে কাজ শেখাটা একদম ই অনুচিৎ। কারন আপনার ক্যারিয়্যারের জন্য আপনাকে অবশ্যই আগামী ২০-৩০ বছরের কথা মাথায় রাখতে হবে। আর আমরা মূলত এই পোস্টে সেই সকল কাজের বিষয়ে আলোচনা করতে চলেছি, যেগুলো আগামী কিছু বছর সফল ভাবেই মার্কেটে থাকবে বলে আশা করা যায়।
ফ্রিল্যান্সিং এর জনপ্রিয় কাজগুলোর মধ্যে চাহিদার সেরা অবস্থানে রয়েছে যে কাজগুলোঃ
- গ্রাফিক ডিজাইন
- ওয়েব ডিজাইন
- ওয়েব ডেভেলপমেন্ট
- ডিজিটাল মার্কেটিং
- SEO
- কনটেন্ট রাইটিং ও ব্লগ রাইটিং
- ভিডিও এডিটিং ও অ্যানিমেশন
- ভয়েস ওভার (Voice Over)
- মোবাইল অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট
- ডেটা এন্ট্রি
- কাস্টমার সার্ভিস
- ট্রান্সলেশন ও ট্রান্সক্রিপশন
- UI/UX ডিজাইন
এগুলোর বাইরেও বর্তমানে সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় কাজ রয়েছে AI দিয়ে বিভিন্ন বিষয়ে দক্ষ্যতা। তবে এটি নিয়েও আলোচনা পাবেন যে, কেন আপনি শুধু AI শিখবেন না, এটি আপনার চাকরি বা কর্মসংস্থান কখন নষ্ট করে দিতে পারে সেটি জানতে পারবেন।
গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখে ফ্রিল্যান্সিং
একসময়ের সাদা কালো দুনিয়া বা ভার্সুয়াল জগৎ আজ রঙে রঙে ভরে গেছে। রঙের ব্যবহার যেন কমতেই চাইছে না বরং ধীরে ধীরে আরো বেড়েই চলেছে। আর আজ আমরা এই রঙের দুনিয়ার সমন্ধে জানতে চলেছি।
গ্রাফিক্স ডিজাইনের মধ্যে আবার অনেক গুলো কাজ রয়েছে। তবে আমরা সংক্ষিপ্ত ভাবে শেষ করতে সহজে এর পরিচয় তুলে ধরার চেষ্টা করি।
গ্রাফিক্স ডিজাইন হলো এমন একটি কাজ, যেখানে বিভিন্ন ধরনের ডিজাইন নিয়ে কাজ করা হয়, সেখানে মূলত বিভিন্ন ইমেজ, ভিডিও বা এই ধরনের ফাইলের উপরে নতুন কোন প্রতিভা যুক্ত করাকে বোঝায়।
যেহেতু নিত্যনতুন কোম্পানি, নিত্যনতুন পন্য বাজারে আসতেছে, অনলাইনেও মানুষ বিভিন্ন কালার ফুল ডিজাইনের দিকে ধাবিত হইতেছে আবার মানুষ নতুন নতুন আইডিয়া নিয়ে কম্পিটিশনে সবার থেকে এগিয়ে থাকার চেষ্টা চালায়, তাই সব মিলিয়ে এই গ্রাফিক্স ডিজাইনের কাজের চাহিদা আগামী ২০-৩০ বছর নয় বরং আরো লম্বা সময় পর্যন্ত জনপ্রিয় স্থানে টিকে থাকবে।
তাই নতুন অবস্থায় গ্রাফিক্স ডিজাইনের কাজ শিখে নিতে পারেন। এটি অনলাইন এবং অফলাইনের উভয় ক্ষেত্রেই বেশ জনপ্রিয় স্থানে রয়েছে। সেই সাথে আবার এর ডিমান্ডও অনেক ভালো। সাধারনত যখন নতুন অবস্থায় আপনি গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখতে চান, তখন যে কোন একটি মাইক্রো টপিকের উপরে কাজ শিখুন।
গ্রাফিক্স ডিজাইনের মাইক্রো টপিকের মধ্যে অন্যতম হলোঃ
- লোগো ডিজাইন
- ব্যানার ডিজাইন
- সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট ডিজাইন
- ফ্লায়ার ডিজাইন ডিজাইন
ইত্যাদি কাজ রয়েছে। এখান থেকে যে কোন একটি কাজকে দক্ষ্যতার সাথে শিখে নিতে পারেন। এবং ধীরে ধীরে বাকি টপিকের উপরেও ধারনা নিতে পারবেন, তবে প্রাথমিক ভাবে যে কোন একটি নিয়ে শেখাটাই ভালো।
ওয়েব ডিজাইন শিখে ফ্রিল্যান্সিং
ওয়েব ডিজাইন ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরের অন্যতম এবং গুরুত্বপূর্ন একটি কাজ। এই কাজের রয়েছে প্রচুর চাহিদা। একই সাথে এটিকে একটি ভেল্যুয়াবল ফ্রিল্যান্সিং কাজ হিসেবেও ধরে নিতে পারেন।
ওয়েব ডেভলাপমেন্ট আর ওয়েব ডিজাইন কিন্তু এক জিনিস নয়, এটি জেনে রাখতে হবে। ওয়েব ডেভলাপার হতে হলে আপনাকে লম্বা সময় ব্যায় করতে হবে, আর ওয়েব ডিজাইন শেখার জন্য আপনি সামান্য সময় দিয়ে চর্চা করলেই যথেষ্ট।
ওয়েব ডিজাইন হচ্ছে, বিভিন্ন CMS এর উপরে কম্পিলিট ডিজাইন করা। অর্থাৎ কোন একটি ওয়েবসাইটের প্রয়োজনীয় ফটো, মেনু, পেজ, সেকশনসহ ইত্যাদি সাজানোকে বোঝায়। যা অনেক CMS দ্বারা খুব সহজ ভাবে করা যায়। ওয়েব ডিজাইনের সবচেয়ে জনপ্রিয় কিছু CMS হলোঃ
- WordPress
- Joomla
- Drupal
- Shopify
- Magento (Adobe Commerce)
- Wix
- blogger
আরো অনেক আছে, তবে এগুলোর মধ্যে সব থেকে জনপ্রিয় স্থানে রয়েছে, ব্লগার, ওয়ার্ডপ্রেস, উইক্স, শপিফাই। এগুলো শিখলেই আপনি কম্পিলিট একজন ওয়েব ডিজাইনার হিসেবে ফ্রিল্যান্সিং করতে পারেন। তবে এগুলো অনেকে ভিন্ন ভিন্ন নামেও ডেকে থাকে।
ওয়েব ডেভলাপমেন্ট শিখে ফ্রিল্যান্সিং
ফ্রিল্যান্সিং এর সবচেয়ে আদি এবং উল্লেখযোগ্য একটি অপশন হলো ওয়েব ডেভলাপমেন্ট। অধিকাংশ কোম্পানি তাদের ওয়েবসাইটের ডেভলাপ করার জন্যই ফ্রিল্যান্সার হায়ার করে থাকে, কারন একজন ওয়েব ডেভলাপার প্রথমম একবারই প্রয়োজন হয়, আর পরবর্তিতে প্রয়োজন হলেও তেমন বেশি প্রয়োজন হয় না। আবার ওয়েব ডেভলাপারের ডিমান্ড অনেক বেশি থাকায় কখনোই কেউ ওয়েব ডেভলাপারদের লম্বা সময় কাজে লাগিয়ে বা বেতন দিয়ে কোম্পানিতে যুক্ত রাখে না।
তাই এটি অল্প পরিশরে কাজ করতে পারলেও অনেক বেশি ইনকাম করা সম্ভব হয়। অপর দিকে কাজটি ভালো দক্ষ্যতার সাখে শিখতে গেলে লম্বা সময় ধরে আপনাকে কোড শিখতে হবে আবার সেগুলো বার বার চর্চা করে নিতে হবে। এই জন্যই ওয়েব ডেভলাপারের সংখ্যা অনেক কম থাকে।
ওয়েব ডেভলাপার বলা হয় তাকে, যে একদম শুন্য থেকে কোড লেখার মাধ্যমে সম্পুর্ন ফানশনালিটি যুক্ত করার মাধ্য়মে একটি ওয়েবসাইট তৈরি করে দিতে সক্ষম। এক্ষেত্রে ওয়েব ডিজাইনার এর প্রয়োজন নিয়ে অনেকে অনেক সময় প্রশ্ন করতে পারেন, তাদের জন্য পরবর্তি কোন পোস্টে আমরা আলোচনা করে দিবো।
ডিজিটাল মার্কেটিং শিখে ফ্রিল্যান্সিং
ডিজিটাল মার্কেটিং একটি যুগান্তকারী অধ্যায়ের নাম। আমাদের সামনে ইন্টারনেটের মাধ্যমে যে সকল পন্য বা বিজ্ঞাপন আসে, সেগুলো সবই ডিজিটাল মার্কেটিং প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আসে।
আরো সহজ ভাবে বলতে গেলে একটি সময় আমরা কোন কিছু প্রচার করার জন্য বিভিন্ন মাধ্যম ব্যবহার করতাম, তার মাধ্যে অন্যতম ছিল মাইকিং, পোস্টার, ব্যানারসহ ইত্যাদি। তবে সময়ের পরিবর্তনে মানুষ এখন আর আগের মতো মাইকিং শোনে না, রাস্তায় থাকা ব্যানার বা পোস্টের ও আগের মতো পড়ে দেখে না। এখন তারা দেখে যা ইন্টারনেটের মাধ্যমে তাদের সামনে প্রদর্শিত হয় সেগুলো।
তার ই ধারাবাহিকতায় এখন মানুষ ডিজিটাল সকল নিয়ম মেনে ইন্টারনেটের মাধ্যমে কেনা বেচা শুরু করেছে, নতুন নতুন সার্ভিস সমন্ধে ইন্টারনেটের মাধ্যমে মার্কেটিং শুরু করেছে। এক্ষেত্রে আপনিও যদি এই ডিজিটাল মার্কেটিং শুরু করেন, তাহলে সেটি দ্বারা ফ্রিল্যান্সিং করতে পারেন।
ডিজিটাল মার্কেটিং একটি বিশাল সেক্টরের নাম, যেখানে অনেক কিছু একত্রে রয়েছে। তবে আপনি সেগুলো থেকে যে কোন কাজ শিখে সেটি নিয়েই ফ্রিল্যান্সিং করতে পারবেন। এমন নয় যে আপনাকে ডিজিটাল মার্কেটিং এর পুরো সেক্টরের সকল কাজে দক্ষ্য হতে হবে বা সেগুলো সব শিখতে হবে।
ডিজিটাল মার্কেটিং এর মাইক্রো টপিকগুলো হলোঃ
- ওয়েবসাইট গুগলে র্যাংক করানো (SEO)
- Search Engine Marketing (SEM)
- Social Media Marketing (SMM)
- Content Marketing
- Email Marketing
- Video Marketing
SEO একটি ভিন্ন মাত্রায় অবস্থান করে, সেজন্য আমরা এটিকে আলাদা করে নিব। এক্ষেত্রে বাকিগুলোকে আমরা ডিজিটাল মার্কেটিং এর মধ্যে ধরি। তবে ডিজিটাল মার্কেটিং এর আবার দুটি পার্ট রয়েছে, একটি হলো ফ্রি মার্কেটিং অপরটি হলো পেইড মার্কেটিং। কিন্তু বর্তমান সময়ে ফ্রি মার্কেটিং তেমন ভালো কাজ করে না এক্ষেত্রে সবাই পেইড মার্কেটিং নিয়েই কাজ করে। তাই আপনাকে সকল অ্যাড কেম্পেইন কোম্পানিগুলো সমন্ধে সম্পুর্ন ধারনা রাখতে হবে।
SEO (সার্চ ইন্জিন অপ্টিমাইজেশন)
এটি হলো কোন ওয়েবসাইটকে বা ওয়েব পেজকে গুগল, ইয়াহু, বিং সহ ইত্যাদি সার্স ইন্জিনের সার্সের উপরের দিকে আনতে পারাকে বোঝায়। যেমন ধরেন আমাদের এই পোস্ট টি গুগলে পেতে আপনি নিদিষ্ট কোন কিছু লিখে সার্স করেছিলেন, তখন এটি আপনার চোখে পড়েছে আর আপনি এটিকে কোন একটি আকর্ষন দেখে এটি পড়়তে আগ্রহী হয়েছেন।
মোট কথা SEO (সার্চ ইন্জিন অপ্টিমাইজেশন) বলতে একটি ওয়েব পেজকে নিদিষ্ট কোন কিওয়ার্ড (আমরা যা লিখে গুগলে সার্স করি) দিয়ে প্রথম পর্যায়ে খুজে পাওয়া এবং সেখানে কোন কিছুর মাধ্যমে আকর্ষিত হয়ে সেটি ওপেন করাকে SEO (সার্চ ইন্জিন অপ্টিমাইজেশন) বোঝায়।
এটি অত্যান্ত গুরুত্ব পূর্ন একটি ডিমান্ডেবল কাজ। কারন মানুষ যখন গুগল থেকে কোন সাজেশন পায়, সেটি কোন বিজ্ঞাপন দেখে কেনার থেকে গুগলের সার্স করে পেলে কেনার আগ্রহ বেশি করে। তাই আপনি SEO (সার্চ ইন্জিন অপ্টিমাইজেশন) শিখে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করতে পারেন।
কন্টেন্ট রাইটিং বা ব্লগিং শিখে ফ্রিল্যান্সিং
কন্টেন্ট রাইটিং বা ব্লগিং বলতে নিদিষ্ট কোন বিষয় বস্তুর উপরে ভিত্তি করে ব্লগ পোস্ট, রচনা বা আর্টিকেল লেখাকে বোঝায়। এটি সাধারনত আপনি এখন যে পোস্টটি পড়তেছেন এটিও একটি ব্লগ পোস্ট বা একটি কন্টেন্ট যা লেখা হয়েছে।
অনেকে এটি বলতে পারে, এই কাজ কিভাবে পেতে পারি। দেখুন আমার একাধীক ওয়েবসাইট রয়েছে, তার উপরে আমার এতো পোস্ট লেখার সময় হয় না। এক্ষেত্রে আমার সাথে বেশ কয়েকজনে কাজ করে। অপর দিকে আমি ভালো কোন লেখক কে খুজে পেলে তাকে হাত ছাড়া করি না, তাকে লেখার জন্য আমার সাথে রেখে দেই।
আবার যখন কোন কোম্পানি তার নিদিষ্ট কোন পন্য সমন্ধে ওয়েবসাইটে বর্ননা লিখতে চায়, সে হয়তোবা সেটি সাজিয়ে লিখতে পারে না বা সে ওই পন্যের সমন্ধে ভালো জানে না অথবা সে এতো কাজ করার সময় পাচ্ছে না এক্ষেত্রে অবশ্যই সে একজন কে হায়ার করে। আর মজার ব্যপার হলো এগুলো একবার কাজ পেলে সারা জীবন ধরে এই কাজটি করা যায়।
ভিডিও এডিটিঁ ও অ্যানিমেশন
বিভিন্ন কাজের জন্য ভিডিও এডিটিং এর প্রয়োজন হয়, আবার ভিডিও কে আকর্ষনীয় করার লক্ষে বর্তমানে সেখানে এনিমেশনে ব্যপক ব্য়বহার লক্ষ্য করা যায়। সেক্ষেত্রে আপনিও একজন দক্ষ্য এডিটর হয়ে ফ্রিল্যান্সিং কাজে লেগে পড়তে পারেন।
ভিডিও এডিটিং এর ক্ষেত্রেও বেশ কিছু কাজের খুব চাহিদা লক্ষ্যনীয়, তার মধ্যে অন্যতম স্থানে রয়েছেঃ
- বিজ্ঞাপন তৈরি
- নিউস ভিডিও এডিটিং
- নাটক ও শর্ট ফ্লিম এডিটিং
- ওয়াজ ও অনুষ্ঠান যাতীয় ভিডিও এডিটিং
আরো ইত্যাদি। তবে এই পেশায় স্বিয় দক্ষতার প্রয়োগ সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন। যত বেশি দক্ষতা কাজে লাগাতে পারবেন ততই বেশি ডিমান্ড হবে। এটি শিখতে পারেন তবে শেখা পর্যন্তই এর সীমাবদ্ধতা নয়।
ভয়েস ওভার বা অডিও রেকর্ড
ভয়েস ওভার হলো বেশ গুরুত্বপূর্ন একটি অংশ। তবে এক্ষেত্রে মাতৃভাষার গুরুত্ব অপরীশিম হারে রয়েছে। তার পরেও যদি আপনি বিশেষ কোন ভাষায় বেশ ভালো দক্ষতা অর্জন করতে পারেন বা ভালোভাবে ভাষাটির ব্যবহার করতে পারেন, সেক্ষেত্রে এই কাজটি করতে পারবেন সেই ভাষাতেও।
সাধারনত মার্কেটিং থেকে শুরু করে প্রায় সকল ক্ষেত্রেই আমরা ভয়েসের ব্যবহার দেখি। ভয়েস ছাড়া ভিডিও যেন বোবা মানুষের মতোই আচারন করে। তাই আমারা প্রায় সকল ভিডিওতেই ভয়েসের ব্যবহার করি। তাই একটি সুন্দর উপস্থাপনা এবং সুন্দর ভয়েসের প্রচুর মূল্য রয়েছে। এক্ষেত্রে ভয়েস ওভার শেখার মাধ্যমেও আাপনি ফ্রিল্যান্সিং করতে পারেন।
মোবাইল অ্যাপ ডেভলাপমেন্ট করে ফ্রিল্যান্সিং
প্রগ্রামিং সেক্টরগুলোতে আমি সবাইকে গনহারে যেতে বারন করবো। কারন এই কাজ হচ্ছে খুবই কঠিন একটি অধ্যায়, যা লম্বা সময় ধরে শিখতে হবে, পরিপূর্ন ভাবে সম্পূর্ন না করতে পারলে আপনি ভালো কিছু করতে পারবেন না।
অপর দিকে ছোট খাটো এক দুই পেজের অ্যাপের নিদিষ্ট একটি সিমাবদ্ধ অবস্থান রয়েছে। যা বর্তমানে প্রায় সোর্স কোড বাজারগুলো দখল করে নিয়েছে। সোর্স কোডকে একজন দক্ষ প্রগ্রামার মাত্র অল্প সময়ে সাজিয়ে পূর্নাঙ্গ করে দিতে পারলে সে ওটি অল্প টাকায় সার্ভিস দিতে পারে, অপর দিকে আপনি এই অ্যাপটি করতে অনেক বেশি সময় নিবেন, যদি সোর্স কোড এডিট করেনও তবুও এটি আপনার তুলনা মূলক বেশি সময় লাগবে আর যখন দক্ষ কেউ অল্প টাকায় করে দিতে চাইবে তখন নতুন কাউকে দিয়ে সেটি করাতে আগ্রহী হবে না।
এছাড়াও অনেক অনেক অসুবিধায় পড়তে হয়। তাই আমার মতে নতুন অবস্থায় যদি অল্প দিনে ইনকামের স্বপ্ন থাকে, তাহলে এসব প্রগ্রামিং এড়িয়ে চলাই ভালো হবে।
মোবাইল অ্যাপের নাম শুনেই বুঝতে বাকি নেই যে এটি আমাদের বর্তমান সময়ের সব থেকে বেশি প্রয়োজনীয় একটি অধ্যায়ের নাম। তবে সে যা ই হোক, যদি আপনি ভালো মানের অ্যাপ তৈরি করতে পারেন তাহলে আপনাকেও লক্ষ টাকার বাজেট দিয়ে অ্যাপ তৈরি করতে দিবে। এক্ষেত্রে দেখা যায় প্রতিনিয়ত আমাদের সমাজে নতুন নতুন কিছু আবিষ্কারের আকাঙ্খা রয়েছে, সেগুলোকে মোবাইল অ্যাপে বাস্তবায়ন করতে পারেন।
তাছাড়াও বিভিন্ন কোম্পানির বিভিন্ন সার্ভিস ভিত্তিক অ্যাপ তৈরি করে ও ইনকাম করতে পারেন। কিন্তু কথা একটাই কেউ ই একজন বেসিক ডেভলাপারের কাছে কাজ দিবে না। মোবাইল অ্যাপ ডেভলাপমেন্টের বিশেষ কিছু গুরূত্বপূর্ন তথ্য জেনে রাখা জরুরি।
অ্যাপ ডেভলাপমেন্টের কয়েকটি সেক্টর হিসেবে আমরা ভাগ করতে পারি, ১. অ্যান্ড্রয়েড ২. অ্যাপেল ৩. পিসি বা উন্ডোজ বা আরো বিভিন্ন প্লাটফর্মের জন্য হতে পরে, তবে এগুলোই বেশি জনপ্রিয় রয়েছে।
এক্ষেত্রে এগুলোর জন্য আপনাকে ভিন্ন ভিন্ন ভাষা শিখতে হবে। আপনি যদি নির্ধারিত কোন প্লাটফর্মের জন্য তৈরি করেন, তাহলে সেখানে সাপোর্ট করে এমন কোন প্রগ্রামিঁ ভাষা আপনাকে শিখতে হবে। এক্ষেত্রে অ্যান্ড্রয়েডের জন্য রয়েছে জাভা, কোটলিন, প্লাটার ইত্যাদি।
আবার যদি আপনি একই কোড ভিন্ন ভিন্ন প্লাটফর্মে কাজ করবে এমন কিছু করতে চান, তাহলে আপনি ক্রোস ল্যাঙ্গুয়েজ শিখতে পারেন। যেমন ফ্লাটার একটি ক্রোস পয়েন্ট প্রগ্রামিং ভাষা, এটি ব্যবহার করে অ্যাপ তৈরি করলে আপনি সেই অ্যাপ অ্যান্ড্রোয়েড ডিভাইস, অ্যাপেল ডিভাইস, পিসি র জন্য ভিন্ন ভিন্ন ভাবে ফাইল তৈরি করে সকল ডিভাইসেই একই অ্যাপ ইনস্টল করতে পারেন।
ডাটা এন্ট্রি করে ফ্রিল্যান্সিং
ডাটা এন্ট্রি বলতে জেন বোঝাই যায় এখানে ডাটা সংগ্রহের কথা বলা হয়েছে। আসলে ডাটা এন্ট্রি খুবই গুরুত্বপূর্ন একটি কাজ। কারন যখন আমরা বিভিন্ন পন্য বিক্রির জন্য বিজ্ঞাপন দিয়ে থাকি, তখন সেটি রেন্ডম মানুষের কাছে পৌছাতে থাকে, আর সেখান থেকে যারা সেটি পছন্দ করে বা প্রয়োজন বোধ করে তারাই সেটি ক্রোয় করে। আর ডাটা এন্ট্রির মাধ্যমে আমরা নিদিষ্ট পন্যের পছন্দ করা মানুষ বা কাদের এই পন্যের প্রয়োজন আছে, তাদের খুব সহজেই খুজে পেতে পারি। এক্ষেত্রে তাদের কাছে এই পন্যটি গেলে বিক্রি হওয়ার সম্ভবনা অনেক গুন বেড়ে যায় যা বিজ্ঞাপনের সর্বাধীক ব্যাবহরা করা বা অল্প টাকায় ভালো ফলাফল করার সুযোগ করে দেয়।
কাস্টমার সার্ভিস
কাস্টমার সার্ভিস হচ্ছে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজনীয় একটি অধ্যায়। কারন যখন এতো কিছুর মাধ্যমে একজন কাস্টমার আপনার ওয়েবসাইটে চলে আসে তখন যদি সে তার প্রয়োজনীয় তথ্য না পায় আর সে পন্যটি না কিনেই চলে যায় তাহলে সেটি লসের উপরে লস হয়ে যায়।
এক্ষেত্রে আমাদের কাস্টমার সার্ভিস হলো গুরুত্বপূর্ন একটি বিষয়, এটি সাধারনত রিমোট কাজের মাধ্যমে করা গেলেও এটি চাকরির মতোই মাস বাই মাস হিসেবে করা যায়। আর এক্ষেত্রে সুন্দর ব্যবহার ও দ্রুত রিসার্স করার যোগ্যতা থাকাটা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ন।
শেষ কথা
আরো দুটো পয়েন্ট বাকি রইল পরের পোস্টের জন্য। সেই সাথে AI এর ব্যবহার কখন আর কতটুকু করতে পারবেন সেটি সমন্ধে ও সেই পোস্টে আলোচনা করে দিবো। তাই আমাদের সাথে থাকার অনুরোধ রইল।