দেশ ছেড়ে বিদেশে গিয়েও অনেকে মাসে ৫০ হাজার কামিয়ে রাখতে পারে না। তবে সামান্য বুদ্ধি খাটাতে পারলে কিন্তু দেশের ভেতরে থেকেই বিভিন্ন মাধ্য়মে বা বিভিন্ন কাজের দ্বারা প্রতিমাসে ১ লক্ষ টাকাও কামানো সম্ভব।
কিভাবে কি কি কাজের দ্বারা মাসে ৫০ হজার বা তার থেকেও বেশি টাকা কামানো সম্ভব সেই রকম কিছু বিশেষ ব্যবসার তথ্য নিয়ে আমরা আজ আলোচনায় এসেছি। যেহেতু টেক দুনিয়ায় অনেক টেক আইটেমের ব্যবসা করা যায় বা অনেকে ভালো ইনকামের জন্য জীবনে টেক রিলেটেড কাজের খোজ করে, তাই আমরা এই বিশেষ পোস্টে আপনাদের ভালো ইনকাম আইডিয়া শেয়ার করি।
কনটেন্ট রাইটিং (ফ্রিল্যান্সিং)
কন্টেন্ট রাইটিং করে হাজার লক্ষ টাকা আয় করা যায়। এটি হতে পারে নিজের ব্লগ সাইটে বা ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে। আজ আমরা ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে কিভাবে কন্টেন্ট রাইটিং করতে পারেন সেই বিষয়ে বেশি গুরুত্ব দিবো।
আগে আপনাকে জানতে হবে কন্টেন্ট রাইটিং বলতে কি বোঝানো হয়েছে। কন্টেন্টট হচ্ছে কোন একটি বিষয় বা সাবজেক্ট। যেমন আপনি যে এই পোস্টটি পড়তেছেন এখানে একটি ওয়েবসাইট আছে, ডোমেইন আছে, ইমেজ আছে তবে সেগুলো সব কিন্তু এখানে সাবজেক্ট নয়। এখানে লেখাগুলোই আপনার দরকার, এটি আপনার জন্য সাবজেক্ট।
কন্টেন্ট বলতে বোঝানো হয় ভিডিও, অডিও, লেখা, ইমেজ বা ইত্যাদি যা সেখানে সাবজেক্টের রূপে থাকে। আর প্রাশঙ্গিক বাকি কিছু সেখানে অবজেক্ট হিসেবে থাকে। সেক্ষেত্রে সহজ ভাবে বলা চলে, আপনি যে পোস্ট পড়তেছেন এটিও একটি কন্টেন্ট।
এখানে কন্টেন্ট রাইটিং বলতে সেই সকল বিষয়কে বোঝানো হয়, যেগুলো লেখা যাচ্ছে এবং সাবজেক্টের স্থানে প্রকাশ পাচ্ছে। এক্ষেত্রে সহজে বলা হয় বিভিন্ন বিষয়ের উপরে ভিত্তি করে আর্টিকেল বা রচনা লেখাকে। যেমন এখানে একটি ইনকাম রিলেটেড পোস্ট লেখা আছে, অর্থাৎ এটি লেখা হিসেবে প্রকাশিত তাই এটিও একটি কন্টেন্ট রাইটিং।
কন্টেন্ট রাইটিং এর মাধ্য়মে সাধারনত ২ ভাবে ইনকাম করা যায়, ১. ব্লগ পোস্ট ২. ফ্রিল্যাান্সিং করে। যেহেতু ফ্রিল্যান্সিং নিয়ে কথা এসেছে, তাই এখানে ফ্রিল্যান্সিং বলতে বোঝানো হয় সেই সকল কাজকে যেগুলো সাধারন অন্যের জন্য কাজ করে দেওয়ার মাধ্যমে ইনকাম করা যায়।
ফ্রিল্যান্সিং এ কন্টেন্ট রাইটিং এর রয়েছে ব্যপক চাহিদা, তার মধ্যে বিশেষ করে ব্যকলিংক এর জন্য কন্টেন্ট, ব্লগ পোস্টের জন্য কন্টেন্ট, বিভিন্ন প্রোডাক্ট রিভিউ করার জন্য কন্টেন্ট বেশি প্রয়োজন হয়। তাই এগুলো প্রায় ৫ ডলার থেকে শুরু করে হাজার ডলার পর্যন্ত চার্চ করে লেখা হয়। কন্টেন্টের মূল্য নির্ভর করে সর্বদাই কন্টেন্ট রাইটারের দক্ষ্যতার ভিত্তিতে।
কন্টেন্ট লিখে দেওয়ার মাধ্যমমে বা ফ্রিল্যান্সিং করার মাধ্যমে প্রতিমাসে ৫০ হাজার টাকা ইনকাম করা সম্ভব, তবে এক্ষেত্রে অবশ্যই দক্ষ্য হতে হবে। আপনি যদি একদম নতুন লেখক হিসেবে কাজ করেন, তাহলে চেষ্টা করুন বেশি সময় ধরে রিসার্চ করে কন্টেন্ট লেখার, তাহলে ডিমান্ড ও বাড়বে আর আপনিও দক্ষ্যতা অর্জন করতে পারেন।
ইউটিউব চ্যানেল
কন্টেন্ট লেখার পাশাপাশি আরেকটি ইনকাম সোর্স হিসেবে আমরা ভিডিও কন্টেন্ট তৈরিকেও ধরে নিতে পারি। যদি আপনি মোটামুটি ভিডিও এডিটিং করতে পারেন এবং ভয়েস ওভার করতে পারেন, তাহলে আপনিও হতে পারেন একজন দক্ষ্য ভিডিও ক্রিয়েটর।
ভিডিও তৈরি করতে পারলে আপনি ইউটিউবে ভিডিও আপলোড করে ইনকাম করতে পারেন, ফেসবুকে ভিডিও আপলোড করতে পারেন, ইনস্টাগ্রাম, মাহফিল অ্যাপ সহ ইত্যাদি মাধ্যমে একই ভিডিও আপলোড করতে পারেন।
ইনকাম করতে হলে আপনি একাধীক মাধ্যম ব্যবহার করতে পারেন, প্রাথমিক ভাবে আপনি ভিডিও তৈরি করে ফ্রিল্যান্সিং করে ইনস্টান্ট ইনকাম করতে পারেন, তার সাথে বিভিন্ন ব্রান্ডের প্রোমোশন করেও ইনকাম করতে পারেন। তার সাথে আবার বিভিন্ন কোম্পানির স্পন্সরের মাধ্যমেও ইনকাম করতে পারেন। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন রেফার বা অ্যাফেলিয়েট লিংকের মাধ্যমেও ইনকাম করতে পারেন।
ব্লগিং + AdSense
যখন আপনি কন্টেন্ট রাইটিং শিখতে পারবেন, তখন সেটি বিভিন্ন মাধ্যমে ইনকামের পথ তৈরি করে দিতে পারে। বিশেষ করে ফ্রিল্যান্সিং এর পাশাপাশি আপনি নিজেই ব্লগ সাইট তৈরি করে ব্লগ পোস্ট লিখতে পারেন, তখন সেখানে আপনি বেশ কিছু মাধ্যমে ভালো পরিমাণে ইনকাম করতে পারবেন। তার মধ্য অন্যতম রয়েছে, ব্যাকলিংক, স্পন্সর পোস্ট, অ্যাফেলিয়েট মার্কেটিং, গুগল অ্যাডসেন্সের বিজ্ঞাপন সহ আরো কিছু বিজ্ঞাপন ব্যবহার করে।
আপনি যখন ভালো মানের একটি কন্টেন্ট লিখতে পারবেন, তখন আপনার কন্টেন্ট কে গুগল সার্চের প্রথমে রাখবে। এটি দেখে অনেকেই আপনার সাইটে বিভিন্ন ধরনের প্রমোশোন বা স্পন্সর পোস্ট করতে আগ্রহ প্রকাশ করবে।
আবার যখন আপনি ভালোমানের রিভিউ পোস্ট লিখতে পারেন, তখন সেই পোস্টের মধ্যে বিভিন্ন কোম্পানির পন্যের অ্যাফেলিয়েট লিংক যুক্ত করে রাখতে পারেন, সেটি আপনার লিংক থেকে ক্লিক করার মাধ্যমে বিক্রি হলেই আপনাকে নিদিষ্ট পরিমাণে কমিশন দেওয়া হবে।
আর আপনি ভালো মানসম্মত কন্টেন্ট লিখতে পারলে, সেটি গুগলের অ্যাডসেন্সের মাধ্যমে মনিটাইজ করিয়ে ভালো পরিমাণে ইনকাম জেনারেট করতে পারেন। তবে এখানে গুগলের ADX ব্যবহার করে, আরো অসংখ্য অ্যাডনেটওয়ার্কের থেকেও মনিটাইজ করতে সক্ষম হবেন।
সাধারনত ব্লগিং এর বিশেষ সুবিধা হলো, আপনি যখন ব্লগিং করবেন, তখন আপনি একাধাক অ্যাডনেটওয়ার্ক এক সাথে চালাতে পারেন। সাধারনত ২ টো করে চালালেই সবথেকে ভালো হয়। সেই সাথে অ্যাফেলিয়েট লিংক যুক্ত করতে পারেন আবার স্পন্সর পোস্ট ও ব্যাকলিংক ও করতে পারেন। তার মানে একই প্লাটফর্মে আপনি নিজস্ব ভাবেই একাধীক ইনকামের মাধ্যম পেয়ে যাচ্ছেন।
তবে এক্ষেত্রে নৈতিকতা ঠিক রেখে গুগলের সকল প্রকারের বিধীনিষেধ মেনে কাজ করাটা অত্যান্ত জরুরি।
গ্রাফিক ডিজাইন/লোগো ডিজাইন
গ্রাফিক্সিকাল বিভিন্ন ডিজাইনকেই সংক্ষেপে গ্রাফিক্স ডিজাইন বলা হয়। আর গ্রাফিক্সের একটি বিশেষ অংশ হচ্ছে লোগো ডিজাইন করা।তবে আমার মতে শুধুমাত্র লোগো ডিজাইন এর উপরে নির্ভরশীল হবেন না। কেননা একই ধরনের কাজের মাধ্যমেই আপনি বিভিন্ন ধরনের ডিজাইন তৈরি করতে পারেন যেহেতু, সেহেতু শুধু একটি মাইক্রো নিশের উপরে ভিত্তি করার কোন অর্থই আসে না।
গ্রাইফিক্স ডিজাইন বর্তমান সময়ে সবার কাছেই অতিপরিচিত একটি কাজ। বিভিন্ন পোস্টার, ইমেজ, ব্যনার সহ ইত্যাদিকে ডিজাইন করাকেই সহজ ভাষায় গ্রাফিক্স ডিজাইন বলে।
সাধারনত বিভিন্ন কোম্পানি নতুন নতুন বাজারে আসতেই লেগেছে। আবার কখনো কখনো পুরাতন কোম্পানির কোনো আপডেট করার জন্য অথবা নতুন পুরাতন সকল কোম্পানির ই মার্কেটিং এর জন্য গ্রাফিক্স ডিজাইন ব্যপক পরিমাণে কাজ বেড়ে চলেছে। তাই আপনিও যদি একজন মানসম্মত ভলো ক্রিয়েটিভিটি নিয়ে ডিজাইনার হতে পারেন, তাহলে আপনিও ভালো কাজ করতে সক্ষম হবেন এবং ভলো পরিমাণে ইনকাম করতে পারবেন।
গ্রাফিক্স ডিজাইন হচ্ছে আর্ট শিল্পোর ইন্টারনেট জগৎ বা ডিজিটাল আঁর্টশিল্প। তাই এখানে বলতে বাদ রাখে না যে, এই কাজ যতবার ই করতে থাকবেন, ততই এটি মানসম্মত হতে থাকবে আর আপনার দক্ষ্যতা বাড়তে থাকবে।
ড্রপশিপিং বা অনলাইন স্টোর
একটি সময়ে হঠানৎ ড্রবশপিং এর জনপ্রিয়তা বেড়ে গেলেও দিন দিন এটি সিমাবদ্ধ হয়ে আসতেছে। তবে আজ আমরা যদি এই অবগতি সমন্ধে জানতে চাই, তাহলে এর পেছনে প্রাথমিক ভাবেই প্রশ্ন উঠতে পারে সেই সকল লোকদের নিয়ে, যারা কোন দক্ষ্যতা ছাড়াই কোর্স করে বা ইউটিউব ভিডিও দেখে ড্রবশপিং শুরু করেছিল।
ড্রপশপিং বলতে আমরা প্রাথমিক ভাবে সেটিকে বলি, যেখানে কোন একটি কোম্পানি থেকে আমরা একটি মাসিক বা বাৎসরিক সাবসক্রিবশনের মাধ্যমে তাদের স্টোরে থাকা সকল পন্যকে আমাদের নামে চালারে পারি, ফলে এটি আমাদের স্টোর করার প্রয়োজন হয় না আবার আমরা নিজেদের নামে মার্কেটিং করতে পারি, পন্যটি কেউ অর্ডার করলে আমরা সেই স্টোর (যাদের পন্য) তাদের তথ্য দিলে, তারা আমাদের কাস্টমারের কাছে পন্যটি শিপিং করে দিবে, তাও আবার আমাদের স্টোরের নামে।
অর্থাৎ আমরা কোথাও থেকে অনলাইনের মাাধ্যমে পন্য বিক্রি করে দিলাম, সেটি আবার অন্য কোন কোম্পানির মাধ্যমে ক্রেতার নিকটে পাঠিয়ে দিলাম ফলে আমাদের কষ্ট করে বা ঝামেলা করে পন্যগুলো গুদামে রাখতে হবে না।
এটি একটি বিশেষ সুবিধা যনক ব্যবসা। এই কাজটি আপনি দেশের যে কোন স্থানে থেকে করতে পারেন, এমন কি বিদেশে থেকেও বা দাশের বাইরেও ই-কমার্স সাইট চালাতে পারেন বিশেষ এই সুবিধাকে কাজে লাগিয়ে।
তবে যখন আপনি ড্রবশপিং এ কাজ শুরু করবেন, তখন আপনার ওয়েবসাইট লাগবে, আপনার ডিজিটাল মার্কেটিং সমন্ধে নলেজ থাকতে হবে, আপনার ডিজাইন সমন্ধে মোটামুটি বেসিক থাকতে হবে, অ্যাড চালানোর বাজেট থাকতে হবে, অ্যাকটিভলি কাস্টমার সাপোর্ট দিতে হবে। এগুলো না থাকলে আপনি কখনোই ড্রবশপিং করতে পারবেন না। শুধুমাত্র এই গুলো না থাকার কারনেই অধিকাংশ মানুষ ড্রবশপিং এ টিকতে পারে না।
তবে এএর মানে এই নয় যে বর্তমান সময়ে সফল ড্রবফপিং করতে পারে না কেউই। আসলে অনেক মার্কেটার রয়েছে যারা ভালো মানের ইনকাম করতেছে এবং বেশ জনপ্রিয় স্থানে রয়েছে, শুধু দেশের মধ্যেই নয় বরং দেশের বাইরেও ড্রবশিপিং করতেছে। এক্ষেত্রে আপনি হয়তো প্রয়োজনীয় বিষয়গুলোর উপরে দক্ষ্যতা নিয়ে কাজ শুরু করতে পারেন বা টাকা খরচ করে কাজগুলো কাউকে দিয়ে করিয়ে নিতে পারেন। তবে এক্ষেত্রে বাজেট ভালো থাকতে হবে, আর প্রাথমিক সময়ে ইনকাম কম হবে।
কোচিং বা টিউশন
যদি আপনার কোন বিষয়ে যথেষ্ট ধারনা থাকে বা আপনি কোন কাজ খুব ভালোভাবে শিখতে পারেন, তাহলে আপনি সেটি অন্যকে শেখানোর মাধ্যমে ইনকাম করতে পারেন। তবে এক্ষেত্রে আপনি ইন্টারনেট বা ইন্টারনেটের বাইরে থেকেও এই কাজ করতে পারেন।
তবে অনলাইনে পড়ালে বা শেখালে আপনি অল্প টাকায় পড়াতে পারেন তাহলে ভালো হবে, আর একসাথে একাধীক স্টুডেন্টকে পড়াতে পারেন। তবে এক্ষেত্রে বিভিন্ন বিষয়ে ধারনা নিয়ে নিতে হবে। কেননা ইন্টারনেটে অনেক সময়ে অনেক সমস্যার সম্মুক্ষীন হওয়া লাগতে পারে।
এক্ষেত্রে ইন্টারনেটে বিশেষ কিছু ওয়েবসাইটে আপনার শিক্ষক হিসেবে অ্যাকাউন্ট করে নিয়ে সেখানে কোর্স রেকর্ড করে ইনকাম করতে পারেন আবার কখনো কখনো লাইভ ক্লাসের ব্যবস্থাও করতে পারেন।
উল্লেখ্য- যে বিষয়েই আপনি শেখাতে চান না কেন, সেই বিষয়ে আপনাকে সম্পুর্ন ধারনা নিয়েই তার পরে শেখানো শুরু করতে হবে। আপনি যদি নিজেই না পারেন বা নিজের দক্ষ্যতাই কম থাকে, তাহলে সেটি অন্যকে কখনোই সেখাতে পারবেন না আবার সেটি থেকে সবাই বিভ্রান্ত হতে থাকবে যা নৈতিক দ্বায়িত্বের অবহেলা সহ ধোকাবাজি হবে।
ডিজিটাল মার্কেটিং সেবা দেওয়া
যদি আপনি ডিজিটাল মার্কেটিং সমন্ধে ভালো দক্ষ্যতা নিতে পারেন এবং বিভিন্ন প্লাটফর্মে যেমন ফেসবুক, ইউটিউবসহ ইত্যাদি স্থানে কেম্পেইন বা অ্যাড রান করতে ভালো দক্ষ্য হয়ে থাকেন, তখন আপনি সেটি সবাইকে সার্ভিস দিতে পারেন।
এক্ষেত্রে আপনি অনেক ভালো পরিমাণে ইনকাম করতে পারেন। তবে নিজের দক্ষ্যতা আগে প্রয়োজন, যদি নিজের দক্ষ্যতাই না থাকে, তখন আপনি অন্যকে সার্ভিস দিতেও পারবেন না, যদিও ভুল ভাল বুঝিয়ে ২-১ টা কাজ পেতে পারেন, কিন্তু সেটি যেমন ধোকাবাজি হবে তেমন আবার আপনার ভবিশ্যৎ কাজ পাওয়ার সম্ভবনা কমতে থাকবে।
ইন্টারনেটে নতুন কোন কোম্পানি রিলিস করতে চাইলে বা যখন অফলাইনের কোন কোম্পানি ডিজিটাল ভাবে প্রচার করতে চাইবেন, তখন সেটি ইন্টারনেটে শেয়ার করতে হয়। তখন অবশ্যই একজন দক্ষ্য মার্কেটারের প্রয়োজন হয়। দিন দিন এই কাজের চাহিদা বেড়েই চলেছে। তাই এই কাজ শিখেও প্রতিমাসে ৫০ হাজারের বেশি টাকা আয় করা সম্ভব।
ফটোগ্রাফি, ভিডিওগ্রাফি
বর্তমান সময়ে অল্প টাকার মধ্যেই ভালো মানের ক্যামেরা পাওয়া সম্ভব। তাছাড়াও অধীকাংশ মোবাইলেই ভালো মানের ক্যামেরা থাকে। যদি আপনি একটু চর্চা করেন, তাহলেই সুন্দর সুন্দর ফটো বা ভিডিও তৈরি করতে পারেন।
যদি ভালো মানের ফটোশুট বা ভিডিও শুট করতে পারেন। তাহলে আপনিও সুন্দর সুন্দর দৃশ্য ক্যাপচার করতে পারেন, সেগুলো বিভিন্ন কম্পিটিশনে শেয়ার করার মাধ্যমে সেখান থেকে যেমন টাকা পেতে পারেন, তেমন আবার পুরুষ্কার ও পেতে পারেন। তাছাড়াও আবার বর্তমান সময়ে ফেসবুকে কন্টেন্ট মনিটাইজে ফটো থেকেও ইনকাম করা যায়।
যদি একটি ক্যামেরা থাকে, তাহলে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে গিয়েও সেখান থেকে ভিডিও শুট বা ফটোশুট করার মাধ্যমে ইনকাম করতে পারেন। যা ভালো পরিমাণে ইনকামের একটি মাধ্যম হতে পারে।