আপনারা যানেন যে বর্তমান সময় এমন অবস্থায় রয়েছি আমরা এখন এই জেনারেশন মোবাইল ছাড়া নিজেদের প্রায় অচল দাবী করে থাকে। তবে শুধু মোবাইল পর্যন্তই শেষ নয়, সেখানে দামি মোবাইল ও বেশি গুরুত্বপূর্ন। আবার দেখা যায় মোবাইলের সাথে আরো বিভিন্ন ধরনের ডিভাইসের রয়েছে ব্যাপক ব্যবহার। ব্যাপক চাহিদায় ব্যবহৃত বিশেষ কিছু ডিভাইস হলোঃ
- স্মার্ট ফোন
- স্মার্ট ওয়াচ
- ক্যামেরা
- বাইক
- এয়ারবার্ড
- ল্যাপটপ
- ইলিক্টিক্যাল যন্ত্র
এখন আমরা বিশেষ ভাবে আমরা যে সকল মাধ্যমে অল্প টাকায় ভালো মানের মোবাইল বা অন্যান্য ডিভাইস ক্রয় করতে পারি, সেগুলো সমন্ধে জেনে নিব। তার মধ্যে রয়েছে বিশেষ মাধ্যম ও বিশেষ ট্যাকনিক।
কিভাবে অল্প টাকায় মোবাইল কেনা যায়
আপনারা যানেন যে আমরা বিভিন্ন ধরনের ইনপুট করা মোবাইল কিনে থাকি। আর আমরা এখন সেই সকল বিষয়ে আলোচনা করবো। প্রথমেই সেইগুলো তালিকা দেখে নেই।
- অফিশিয়্যাল রিলিস করা
- আন-অফিশিয়্যাল ইনপুট
- ব্যাবহৃত মোবাইল
- বিদেশি ব্যবহৃত মোবাইল
- চুরি করা মোবাইল
সাধারনত উপরের তালিকায় দেওয়া বিশেষ কিছু মাধ্যমে আমাদের সামনে বিশেষ এই মোবাইল বা অন্যান্য ডিভাইসগুলো পৌছায়। তবে এই ডিভাইসগুলোর তেমন বেশি কিছু পার্থক্য নেই, কেননা এগুলো একই কোম্পানির ভিন্ন ভিন্ন ভাবে আমাদের হাতে পৌছানো মোবাইল।
পার্থক্য গুলো জেনে নেওয়া যাক
যেহেতু ভিন্ন ভিন্ন মাধ্যমে আমাদের হাতে মোবাইল গুলো পৌছায়,সেহেতু আমাদের এই ডিভাইসগুলোর মাধ্যমের সমন্ধে কিছুটা ভিন্নতা রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে সেগুলো নিচে দেওয়া হলো।
অফিশিয়্যাল ও আন-অফিশিয়্যাল মোবাইলের পার্থক্য
অফিশিয়্যাল বলতে যে সকল মোবাইল বৈধ ভাবে তৈরি করা হয় এবং মোবাইলগুলো দেশে বৈধ ভাবে ইনপুট করা হয়। এখানে বৈধ ভাবে ইনপুট বলতে যে সকল মোবাইল লাইসেন্স করা ইনপুটার কোম্পানি দ্বারা বিদেশ থেকে ইনপুট করা হয়, সেগুলোকে বৈধ বলা হয়। আর অপর দিকে যে সকল পন্য বাংলাদেশে সাধারন লোকের দ্বারা ইনপুট করা হয় এবং সেগুলোতে সঠিক ভ্যাট প্রদান করা হয় না, সে সকল ডিভাইলসকেই আন-অফিশিয়্যাল ডিভাইস বলা হয়।
এক কথায় বলা চলে, যে সকল ডিভাইল আমাদের প্রবাসি ভাইয়েরা দেশে নিয়ে আসে সেগুলো তাদের নিজেদের ব্যবহারের জন্য বা আত্মীয়দের জন্য, সেই সকল ডিভাইসকেই আন-অফিশিয়্যাল মোবাইল বলা হবে। কেননা এগুলো বাংলাদেশের ভ্যাটের আয়ত্বাধীন বিক্রি করা হয় না।
অর্থাৎ যে ডিভাইসগুলো আমাদের দেশে ভ্যাট দেয় না, অন্য কোন দেশে ভ্যাট দেয় সেগুলো আমাদের দেশে আন-অফিশিয়্যাল। তবে সেটি যে দেশে ভ্যাট দেওয়া হয়েছে, সেখানে এটি অফিশিয়্যাল।
আমরা যেহেতু পার্থক্য সমন্ধে জেনে নিয়েছি, সেখানে এটির বিশেষ ব্যবহার ও ব্যবহারের পার্থক্য সমন্ধে জেনে নেওয়া উচিৎ। আসলে এখনো পর্যন্ত দেশের আন-অফিশিয়্যাল মোবাইল বন্ধ করা হয়নি। কারন দেশের অসংখ্য মানুষ প্রবাসে থাকে, তাই প্রবাসিদের প্রতি বছর অসখ্য মোবাইল দেশে আনেন, তাই এই সকল মোবাইল দেশে চালু রাখা জরুরি, কারন দেশের জন্য প্রবাসিরাও একটি অন্যতম সম্মদ। আর তাদের এই বিশেষ সুবিধা টুকু দেওয়া খুব জরুরি। আর এই সুযোগ সকল আন-অফিশিয়্যাল মোবাইল ব্যবহার যোগ্য করে দেয়।
আসলে বাংলাদেশে পন্যের দামের তুলনায় পন্যের কর বা ভ্যাট অনেক বেশি পরিমাণে হওয়ায় এই আন-অফিশিয়্যাাল মোবাইল বন্ধ করা যায় না, আর এটির ব্যবহারও অনেক বেশি দেখা যায়। তবে এটি তেমন কোন সমস্যার কারন হয় না। কিন্তু ভ্যাট দিয়ে দেশের উপকার করা আমাদের সবার কর্তব্য।
ব্যবহার করা বা পুরাতন মোবাইল
আমাদের দেশের হত দরিদ্রদের জন্য সবাই নতুন মোবাইল ব্যবহার করে থাকে। দেখা যায় দেশের বা দেশের বাইরের মানুষের ব্যবহার করা প্রায় অনেক পরিমাণে মোবাইল দেশে এক্সেন্জের মাধ্যমে ক্রয় বিক্রয় করা হয়।
এখানে দেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে দেখা যায় চুরি করা বা অন্যান্য অপরাধ করা মোবাইল দেশের বিভিন্ন মানুষ অল্প টাকায় বিক্রি করে থাকে। তাই সেদিকে লক্ষ্য করে এই সকল মোবাইল কেনার আগে ভালো করে চেক করে নেওয়া উচিৎ।
তাছাড়াও দেখা যায় যে অনেক সময় আমরা যে সকল মোবাইল পুরাতন মার্কেট থেকে কিনে ব্যবহার করি, সেগুলো বিভিন্ন ভাবে ভেতরগত ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ থাকে। তাই সেগুলো সমন্ধে জেনে না নিলে কিছুদিনের মধ্যেই সেটি বিশাল সমস্যার কারন হয়ে দাড়াবে। বিশেষ করে বর্তমান সময়ে মোবাইলের বিশেষ সকল যন্ত্রাংশ ক্ষতিগ্রস্থ হলে সেটি পরিবর্তনের জন্য অনেক টাকা খরচ হয়।
চুরি করা মবাইল থেকে ক্ষতিগ্রস্থ
বাংলাদেশ সহ বিশ্বের প্রায় সকল দেশেই কম বেশি চোরের দেখা মেলে। আর বিভিন্ন সময়ে মোবাইল চুরি করার বিষয়ে ও রয়েছে স্পস্ট নজির। তবে এর মধ্যে বিশেষ করে বর্তমান সময়ে চোর থেকে মোবাইল ফেরত পেতে বিভিন্ন উপায় ব্যবহার করা হচ্ছে। তবে চোর ও প্রতিনিয়ত তার চুরির ধরন পরিবর্তন করে নিচ্ছে।
কিন্তু মোবাইলের ব্যবহারকারীরা যদি সাবধান হয়, তাহলেই এই চুরি বেশ ক্ষানিকটা এড়ানো সম্ভব। তবে চোর বর্তমানে চুরি করার পরে সেটি অল্প সময়ের মধ্যেই বিক্রি করে দেয়। আর তা যখন অল্প দামে পেয়ে কেউ কিনে ব্যবহার করতে শুরু করে, তখন সেটি আবার পুলিশের মাধ্যমে মালিকের কাছে পৌছে যায়। এক্ষেত্রে মোবাইল এএর জন্য প্রদান করা অর্থ বৃথা যেতে পারে। আর সেই সাথে আবার মোবাইল চুরির দায়ে মামলাও খেতে হতে পারে।
বিশেষ সতর্কতা
এখানে মোবাইল সমন্ধে সকল আপডেট দেওয়া হয়, সেই লক্ষ্যেই আমরা আপনাদের জন্য অল্প টাকায় মোবাইল কিনতে গিয়ে যে সকল সমস্যার সম্মুক্ষীন হতে পারেন, সেগুলো সমন্ধে বেশ ধারনা দিয়ে রাখলাম। তাই আশা করি আপনারা এই বিষয়গুলো খুব খেয়াল করেই মোবাইল ক্রয় করবেন।