ডিজিটাল শব্দটি আমাদের সমাজে এখন বেশ পরিচিত শব্দ। এই শব্দের রয়েছে ব্যাপক অর্থ ও ব্যাপক ব্যবহার। আজ আমরা এই পোস্টে ডিজিটাল মার্কেটিং এর ব্যাপক ব্যবহার ও ব্যাপক ফলাফল সমন্ধে জানিয়ে দিবো। সেই সাথে এই ১২ টি মার্কেটিং সহজে শেখার উপায়ও জানতে পারেন।
সাধারনত ১২ টি ডিজিটাল মার্কেটিং এর তালিকা হলোঃ
- সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন
- সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং
- সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং
- কন্টেন্ট মার্কেটিং
- ইমেইল মার্কেটিং
- অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং
- ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিং
- পেইড পার ক্লিক
- ভিডিও মার্কেটিং
- মোবাইল মার্কেটিং
- অনলাইন রিপুটেশন ম্যানেজমেন্ট
- মার্কেটিং অটোমেশন
যদিও এগুলোকে ডিজিটাল মার্কেটিং এর বিশেষ কিছু ভাগ হিসেবে ধারন করা হয়। কিন্তু তার পরেও এর স্পস্ট কোন যুক্তি নেই। এখানে আমরা এই তথ্যের ভিত্তিতে মার্কেটিং সমন্ধে আলোচনা করবো।
ডিজিটাল মার্কেটিং সমন্ধে আমাদের আগের পোস্ট থেকে জেনে নিতে পারেন। আর এই পোস্টে শুধু ডিজিটাল মার্কেটিং এর ব্যাপক প্রয়োগের সমন্ধে ধারনা দিব।
সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন
SEO সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন বা গুগল সার্সে প্রথম পর্যায়ে নিয়ে আশাকে বোঝায়। এই সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন এর মাধ্যমে আপনি আপনার যে কোন পন্য সহজেই গুগলের সার্সের জন্য প্রথমদিকে নিয়ে আসতে পারেন। আর সাধারনত মানুষ যখন কোন প্রয়োজনীয় পন্য সমন্ধে খোজ খবর নিতে আগ্রহী হয় বা পন্য কিনতে চায় তখন বিভিন্ন ভাবে সেটি খোজ করতে থাকে। এবং সেই পন্যের সকল তথ্য সমন্ধে জানতে পারেন।
এদিকে মানুষ প্রাথমিক ভাবেই গুগল ও ইউটিউব থেকে সার্স করতে খুব পছন্দ করে। এদিকে গুগল ও একটি সার্স ইঞ্জিল এবং ইউটিউবকেও বিশেষ ভাবে সার্স ইঞ্জিল হিসেবে ধরা হয়ে থাকে। তাই এই উভয় প্লাটফর্মেই সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন করা সম্ভব। আর ভিডিও বা আর্টিকেলের মাধ্যমে পন্যের বিষয়ে ভালোভাবে আলোচনা করতে পারেন, আবার পন্যের রিভিউ করতে পারেন।
সেক্ষেত্রে সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন এর মাধ্যমে আপনার পন্যটি খুব সহজে বিক্রি হওয়ার সম্ভবনা থাকবে। এজন্য এই প্রক্রিয়ায় ডিজিটাল মার্কেটিং করতে পারেন। এটি আপনাদের জন্য সবচেয়ে ভালো একটি মাধ্যম হতে পারে।
সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং
সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং বলতে শুধু এক প্রকারের কেম্পেইনকে বোঝাতে পারে। আপনারা হয়তো জানেন যে গুগলে বা অন্যান্য সার্স ইঞ্জিনে বিভিন্ন পন্যের নাম লিখে সার্স করলে সেখানে প্রথম দিকে বিভিন্ন ওয়েবসাইটের বিজ্ঞাপন দেখা যায়। আবার বিজ্ঞাপন ছাড়াও বিভিন্ন সাইটের পোস্টে এই ধরনের বিঞ্জাপন দেওয়া হয়ে থাকে। সেখানে যারা উক্ত পন্যটি খুজে পেতে যায়, তাদের সামনে সেই পন্যের সুন্দর ও আকর্ষনীয় বিঞ্জাপন দেখানো হয়।
এর জন্য বেশ টাকা খরচ করতে হবে। সেক্ষেত্রে টাকার মাধ্যমে এই বিজ্ঞাপনগুলো গুগল ও অন্যান্য অ্যাড নেটওয়ার্কের মাধ্যমে প্রচার করা যায়। এদিকে আবার এখানে যেহেতু পোস্টের মাঝে মাঝে বিজ্ঞাপনগুলো দেখানো হয়। সেক্ষেত্রে বিজ্ঞাপনে ক্লিক করার ফলে টাকা কাটা হবে, কিন্তু সেখানে সেল হওয়ার শত ভাগ নিশ্চয়তা থাকে না। এদিকে আপনি চাইলে যে সকল ওয়েবসাইট এই পন্যের রিভিউ করে থাকে, তাদের সাথে সরাসরি কথা বলে সেখানেও টাকার বিনিময়ে মার্কেটিং করতে পারেন।
সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং
সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং একটি সময়ে খুব জনপ্রিয় ছিল। যদিও এটি সময়ের সাথে পরিবর্তন করে আবার নতুন রূপে কিছুটা জনপ্রিয় হয়ে এসেছে। কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে দেখা যায় লাইক বেশি হলেও সেল কম হয়ে থাকে। তবে আবার সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে খুবই কম খরচে মার্কেটিং করা যায়।
সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এর অর্থে সহজেই বোঝা যায়, এটি বিভিন্ন সোস্যাল মিডিয়া (ফেসবুক, ইউটিউব, টিকটক) এর মাধ্যমে প্রচার করা যায়। আগে এটি ফ্রিতেই প্রচার করা সম্ভব ছিল। তবে এখন সোস্যাল মিডিয়ায় মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে তেমন বেশি রিস পাওয়া যায় না। তাই কোম্পানি গুলোকে টাকা দিয়ে প্রচার করতে হয়।
যদিও প্রায় কোম্পানির নিজস্ব বিজ্ঞাপন এর বিশেষ অপশন থাকে, কিন্তু সেই সাথে তারা অল্প টাকায় বিজ্ঞাপনের জন্য প্রমোট বা বুস্ট অপশন রাখে। ফলে অল্প টাকায় বেশ ভালো রিস পাওয়া যাবে, সেই সাথে খরচ ও কম হবে। কিন্তু এখানে বুস্ট ও বিজ্ঞাপনের ক্ষেত্রে কিছুটা পার্থক্য রয়েছে, সে ব্যাপারে আমাদের পরবর্তি পোস্ট হবে।
কন্টেন্ট মার্কেটিং
কন্টেন্ট মার্কেটিং ডিজিটাল মার্কেটিং এর একটি বিশেষ অংশ হিসেবে ধরা হলেও আসলে কন্টেন্ট মার্কেটিং ই ডিজিটাল মার্কেটিং এর আসল জিনিস। অনেক সময় বলা হয় কন্টেন্ট ই কিং। কারন মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে কন্টেন্ট এর নির্ভর করে। যদি আপনি একটি ইমেজ, ভিডিও অথবা ব্লগ পোস্টের মাধ্যমে পন্যের সমন্ধে সম্পুর্ন তথ্য শেয়ার করা হয়। এবং সেটি দ্বারাই মার্কেটিং করা হয়।
এক্ষেত্রে মার্কেটিং এর শ্রেষ্ট বিষয় হলো এই কন্টেন্ট। এই কন্টেন্ট যত বেশি ভালোভাবে উপস্থাপন করা সম্ভব। সেখানে উপস্থাপন করলে সেল বা মার্কেটিং ও ভালো হবে। তাই কন্টেন্ট এর দিকে ভালো করে নজর দেওয়া উচিৎ।
ইমেইল মার্কেটিং
ইমেইল মার্কেটিং একটি অন্যতম ডিজিটাল মার্কেটিং এর অংশ। সেক্ষেত্রে ইমেইলের মার্কেটিং করে খুব ভালো ফলাফল পেতে পারেন। বিশেষ করে ইমেইল মার্কেটিং টার্গেট করে ভালো ফলাফল পাওয়া সম্ভব। এদিকে ইমেইল মার্কেটিং সাধারনত ইমেইলের মাধ্যমে আপডেট পাঠানোকে বোঝায়।
সাধারনত দেখতে গেলে বেশির ভাগ ওয়েবসাইটেই ইমেলেরর মাধ্যমে সাবসক্রাইব করে রাখার সুযোদ থাকে। আবার বিভিন্ন সময় পন্য অর্ডার করার সময়ে ইমেইল দিতে হয়। তখন ইমেইল সংরক্ষন করা হয়। এর ফলে পরবর্তিতে নতুন পন্য আপডেট করলে বা ভালো পন্য আসলে সেটি সমন্ধে ভালো ভাবে কন্টেন্ট তৈরি করে ইমেইলের মাধ্যমে সবার কাছে পৌছে দেওয়া যেতে পারে।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং ডিজিটাল মার্কেটিং এর প্রক্রিয়ার কোন অংশের মধ্যে পরে না। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং আসলে ডিজিটাল মার্কেটিং এর একটি বিশেষ প্রয়োগ। তবে কেউ কেউ আবার অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কেও ডিজিটাল মার্কেটিং বলে থাকেন। তবে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং আসলে ডিজিটাল মার্কেটিং এর প্রয়োদেই করা হয়।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং বলতে কিছু কিছু কোম্পানি তাদের পন্যের নির্ধারিত লিংক দিয়ে থাকেন মার্কোরকে টার্গেট করে। ফলে উক্ত লিংক থেকে আসা সকল ট্রাভিক বা ভিসিটরকে সহজেই ট্রাক করা সম্ভব হয়। শুধু তাই নয়, এই লিংকের মাধ্যমে ভিসিট করা ব্যাক্তি যে কোন পন্য ক্রয় করলেও উক্ত মার্কেটারের হিসেবে চিহ্নিত করা যেতে পারে।
তবে কোন কোন কাজ এই মার্কেটারের হিসেবে গন্য করা হবে, সেটি মার্কেটপ্লেসের অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর পলেসিতে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী নির্ধারিত হবে। অনেক সময় দেখা যায়, এই লিংকের মাধ্যমে আশা ব্যাক্তির ১ মাসের মধ্যে প্রথম অর্ডারকে ধরা হতে পারে। আবার অনেক কোম্পানি শুধু তখনকার সময়ে যে কোন অর্ডারকে ধরতে পারে। কখনো কখনো দেখা যায় শুধু টার্গেটিং লিংকে আসা পন্যটি অর্ডার করলেই সেটি উক্ত মার্কেটারের হিসেবে গন্য করা হবে।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এক সময়ের জনপ্রিয় একটি অনলাইন ইনকাম হিসেবে পরিচিত। আবার লক্ষ্য করলে দেখা যাবে বিশ্বের বড় বড় দেশগুলোকে টার্গেট করে এখনো এই অ্যাফেলিয়েট মার্কেটিং করা হচ্ছে। এটা আসলে পন্য বিক্রির উপরে নির্ধারিত কমিশন দেওয়া হয়ে থাকে। কিন্তু পন্য বিক্রি থেকে সকল প্রক্রিয়া বিক্রেতা কোম্পানি করে থাকে। মার্কেটার শুধু পন্যের উপস্থাপনা করে থাকে এবং অ্যাকাউন্ট থেকে পন্যের নির্ধারিত লিংক সংগ্রহ করে থাকে।
তবে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য নির্ধারিত লোকেশন বিশেষ গুরুত্ব। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর ভালো ফলাফল পেতে লোকেশনের সেরা মার্কেটপ্লেস নিয়ে কাজ করা অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ন। অনেক ক্ষেত্রে সিপিএ মার্কেটিং কেও অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর অংশ হিসেবে ধরা হয়ে থাকে।
ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিং
জনপ্রিয় এবং বিস্বস্ত মানুষের জ্বারা যে মার্কেটং করা হয় তাকেই ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিং বলে। আসলে একটি ব্রান্ডের প্রচারের জন্য বা ব্রান্ডের বিস্বস্ততার জন্য বিস্বস্ত মানুষের দ্বারা করা রিভিউ বা মার্কেটিং খুবই গুরুত্বপূর্ন। কেউ যখন তার প্রিয় স্লেব্রেটি বা বিস্বস্ত কন্টেন্ট ক্রিয়েটরের কাছে কোন কোম্পানির সমন্ধে জানতে পারে, তখন সেই ব্রান্ড বা শপ থেকে পন্য কিনতে স্বাসন্দ বোধ করে, এবং পন্য বা ব্রান্ডকে বিস্বস্ত বোধ করে, ফলে সামান্য বেশি দামের হলেও সেখান থেকে পন্য কিনতে আগ্রহী হয়।
ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিংকে বর্তমানে একটি জনপ্রিয় এবং কার্যকারী মার্কেটিং হিসেবে ধরা হয়ে থাকে। অফলাইন থেকে অনলাইন সকল ক্ষেত্রেই এর ব্যাপক ব্যবহার লক্ষ্য করা যায়। তবে ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিং ডিজাটাল ভাবে বা অনলাইনে বেশি ব্যবহৃত হয় ও ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিং অনলাইনে বেশি কার্যকারি।
পেইড পার ক্লিক cpa মার্কেটিং
পেইড পার ক্লিক cpa মার্কেটিং সাধারনত ভাবে বিভিন্ন ধরনের উপরে ভিত্তি করে পরিবর্তন হতে পারে। কাজের ধরনের পরিবর্তনের সাথে সাথে নমের মধ্যেও বেশ পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়।
তবে এখানকার মূল কথাই হলো, অ্যাফেলিয়েট মার্কেটিং এর মতো বিশেষ লিংক দেওয়া হবে, আর সেই লিংকের মাধ্যমে পাওয়া প্রতিটি ক্লিকের জন্যই মার্কেটারকে নির্ধারিত মূল্য পে করতে হবে। যদিও এটি মার্কেটপ্লেসের নিয়ম নিতীর ভিত্তিতে কখনো কখনো ভিন্নতা দেখা যায়।
কেউ কেউ ক্লিক করার পরে কোন অ্যাকশন নেওয়া মানে ইমেইল সাবমিট, কমেন্ট, লাইক, ডাউনলোড ইত্যাদি কাজের জন্য পেমেন্ট করে। আবার কেউ কেউ কোন পন্য অর্ডারের জন্য পেমেন্ট করে থাকে, আবার কেউ কেউ ক্রেডিড কার্ড সাবমিটের জন্য পেমেন্ট করে। তবে এই পেইড পার ক্লিক cpa মার্কেটিং এর থেকে বেশ ইনকাম করা সম্ভব। তাই পেইড পার ক্লিক cpa মার্কেটিং সমন্ধে আমরা আরো বিস্তারিত তথ্য দিয়ে আপনাদের জন্য পরবর্তি পোস্ট দিব।
ভিডিও মার্কেটিং
ভিডিও মার্কেটিং বর্তমান সময়ের জনপ্রিয় একটি মাধ্যম। সেই যেদিন থেকে মানুষ ইউটিউবের প্রতি বেশি আকৃষ্ট হয়েছিল, এবং ইউটিউব থেকে সকল প্রকারের তথ্য পেতে শুরু করলো, সেদিন থেকেই মানুষের কাছে ব্লগ পোস্টের থেকে ভিডিও দেখা অনেক জনপ্রিয় হয়ে এসেছে। তাই সাধারন ফটো বা ব্লগের থেকে ভিডিও মার্কেটিং অনেক জনপ্রিয় হয়ে এসেছে।
এখনকার সময়ে ছোট ছোট লম্বা স্কিনের ভিডিও বা টিকটক, রিলস এবং শর্ট ভিডিও খুবই জনপ্রিয় একটি মাধ্যম। মানুষ বর্তমানে কারন অকারনে দিনের সবচেয়ে বেশি সময় এই ধরনের প্লাটফর্মে ব্যায় করে। তাই ধীরে ধীরে এর জনপ্রিয়তা বেড়েই চলেছে। বেড়ে চলেছে জনপ্রিয় ক্রিয়েটর।
এই জনপ্রিয় এবং বিস্বস্ত ক্রিয়েটরের মাধ্যমে খুব ভালো মানের ভিডিও তৈরি করে ব্রান্ড বা শপের প্রচার করা যাকে ভিডিও মার্কেটিং বলে। এটি বর্তমান সময়ে অল্প খরচের একটি জনপ্রিয় মার্কেট। ক্রিয়েটরের অ্যাকাউন্টে ভিডিও আপলোড করার ফলে তার সকল অডিয়েন্সের কাছে খুব সহজে পৌছানো যায়। আবার সেই একই ভিডিও আপনি অ্যাক্সেস নিয়ে নিজের ব্রান্ডের চ্যানেল বা পেজে আপলোড করতে পারেন, সেখান থেকে বুস্ট বা কেম্পেইন করতে পারেন।

মোবাইল মার্কেটিং
মোবাইল মার্কেটিং মানে তেমন কোন বিশেষ প্রক্রিয়া নেই। তবে বর্তমান সময়ে বেশিরভাগ মানুষ এক বা একাধিক ধরনের ডিভাইস ব্যবহার করতে পারে, সেখানে অনেক জনপ্রিয় ডিভাইস হিসেবে মোবাইলকেই ধরা হয়। তাই এই ডিভাইসের ব্যবহার সবচেয়ে বেশি লক্ষ্যনীয়। এই বিশেষ ডিভাইসটি প্রায় সবার কাছেই থাকে। এই মোবাইলের মাধ্যমেই সবচেয়ে বেশি পন্য অর্ডার করা হয় বর্তমান সময়ে।
তাই এই সময়ে মোবাইলকে টার্গেট করেও মার্কেটিং করা হয়। বিশেষ করে মোবাইলে নটিফেকেশন পাঠানোর মাধ্যমে, মোবাইলের ভিডিওর মাধ্যমে, মোবাইল ডিভাইস টার্গেট করে কেম্পেইন চালু করে আরো ইত্যাদি উপায়ে। তাই এই মার্কেটিং এর মাধ্যমে খরচ কমে যেতে পারে এবং পন্য অর্ডারের জন্য সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত ডিভাইসে পন্যের মার্কেটিং পৌছানো সম্ভব।
এজন্যই দিন দিন মোবাইল মার্কেটিং খুবই জনপ্রিয় হয়ে উঠতেছে। এটি বর্তমান সময়ের বা ডিজিটাল মার্কেটিং এর একটি বড় অংশ হিসেবে ধরা যেতে পারে। এবং এই মোবাইল মার্কেটিং করে ভালো ফলাফল পাওয়া যেতে পারে।
অনলাইন রিপুটেশন ম্যানেজমেন্ট
কন্টেন্টকেই মার্কেটিং এর কিং বলা হয়। আর ভিডিও, ইমেজ, ব্লগ বা অডিও সবগুলোই হলো কন্টেন্ট। কখনো কখনো এই সবগুলো মিলেই একটা কন্টেন্ট তৈরি হয়। আবার কখনো কখনো আংশিক মিলে হতে পারে। তবে ভিডিও থাম্বনেইল বা ব্লগ পোস্টের ফিচর ইমেজসহ ইত্যাদি ক্ষেত্রে ইমেজের ব্যাপক ব্যবহার রয়েছে। তাই একটি মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে ইমেজ বেশ বড় ভূমিকা পালন করে থাকে।
তাই এই মার্কেটিং কিং বা রাজাকে সুন্দর করতে পারলেই আপনার মার্কেটিং জগৎ বেশ সুন্দ করতে পারবেন। তবে যদি এই মার্কেটিং সুন্দর না হয়, তাহলে মার্কেটিংকেও সুন্দর করতে পারবেন না। তাই মার্কেটিং এর জন্য পন্যের বা ব্রান্ডের সুন্দর একটি ইমেইজ বা কন্টেন্ট তৈরি করে নিবেন। প্রয়োজনে মার্কেটিং এর জন্য বাজেটের অর্ধেক টাকা অনলাইন রিপুটেশন ম্যানেজমেন্ট এর জন্য ব্যায় করতে পারেন, তবুও বাকি অর্ধেকে ভালো ফলাফল পাবেন, যদি অনলাইন রিপুটেশন ম্যানেজমেন্ট ভালো করতে পারেন।
মার্কেটিং অটোমেশন
যদি আপনি কোন পন্যের কেম্পেইন বা বুস্টিং করেন, তাহলে সেই প্লাটফর্ম আপনার অডিয়েন্স নির্ধারন করার সময়ে তাদের সংক্ষিপ্ত তথ্য সংরক্ষন করে রাখে, সেই তথ্যের ভিত্তিতে পরবর্তি অডিয়েন্স টার্গেট করতে সক্ষম। এটি আপনার বাজেটের জন্য সেরা রিপোর্ট দিতে সক্ষম। তবে সেরা ফলাফলের জন্য মিনিমাম কিছু রিকোমেন্ট দিয়ে থাক তারা। বিশেষ করে ৩ দিন বা ৫ দিন দেওয়া হতে পারে এবং বাজেটসহ ইত্যাদি হতে পারে।
ধরুন আপনি আপনার কোন পন্য নিয়ে ফেসবুক অথবা ইউটিউবে বুস্ট করলেন, সেখানে আপনাকে মিনিমাম ১০ ডলার স্পেন্ট করার কথা বলা হলে, আর এটি ৩ থেকে ৫ দিনে করার বিষয়ে বলা হলো, এমন অবস্থায় আপনার প্রথম দিনে অল্প খরচ করে সেখানে সঠিক অডিয়েন্স নির্ধারন করা হতে পারে, বা আগের তথ্য অনুযায়ী অডিয়েন্স নির্ধারন করা হবে। পরবর্তিতে সেটি অনুযায়ি আপনার বুস্টির কার্যকারি হবে, এবং যদি সেটি ভালো ফলাফল দিতে সক্ষম হয়, তবেই সেটি চালিয়ে যাবে, অন্যার্থায় সেটি আবারও আংশিক থেমে থেমে তথ্য সংগ্রহ করতে শুরু করবে।
এভাবে আপনার আর্থিক ভাবে ক্ষতির প্রভাব ঠেকিয়ে আপনাকে একটি ভালো রেসাল্ট দিয়ে সক্ষম। তবে যদি এটি আপনি আপনার কোন ওয়েবসাইটের মাধ্যমে সরাসরি করতে চান, তাহলে আপনার মার্কেটিং অটোমেশন সিস্টেম নিয়োগ করতে হবে। এটি আপনার ডেভলাপার বা কোন ডেভলাপারের মাধ্যমে যুক্ত করে নিতে পারেন। আবার সহজে মার্কেটিং অটোমেশন যুক্ত করার জন্য অনেক কোম্পানির সার্ভিস রয়েছে, তাদের একটি এপিআই ব্যবহারের মাধ্যমে একটি শক্তিশালী মার্কেটিং অটোমেশন সিস্টেম পেতে পারেন।