মুক্ত পেশা বা ফ্রিল্যান্সিং জগতের অন্যতম একটি নাম যেন এই ডিজিটাল মার্কেটিং। তবে পুরা দুনিয়া আপডেট হয়, সেখানে আমাদের এই ডিজিটাল মার্কেটিং কে ও সেখানে তাল মিলিয়ে আপডেট করার বেশ প্রয়োজন তো রয়েছেই, তাই না। আর সেদিকে লক্ষ রেখেই আমরা আজ আপনাদের সাথে এই বিশেষ তথ্য শেয়ার করি। এই পোস্টেই আমরা ডিজিটাল মার্কেটিং এর আরো বেশি ডিজিটাল হওয়ার সমন্ধে জানাবো।
দেখুন কোন একটা সময় ছিল, যখন এআই ছিল না। তখন কার সময়ে যে কেউ ই ডিজিটাল মার্কেটিং শিখে ভালো পরিমানে ইনকাম করতে পারতো। আর তখনকার সময়ে ফেসবুক বুস্ট, ইউটিউব বুস্ট, ফেসবুক, গুগল সহ ইত্যাদি ক্যাম্পেইন সিস্টেম তেমন জনপ্রিয় ছিল না। কিন্তু সেই দিন থেকে ডিজিটাল দিনে আপডেট হয়ে এসেছে। তাই এখন আর সেই কাজ করে লক্ষ কোটি টাকা ইনকাম করা যায় না।
কেন আজ ডিজিটাল মার্কেটিং তলানিতে
দেখুন, আমরা যখন ডিজিটালল হয়েছিলাম, যখন থেকে ডিজিটাল জগতের সাথে আমাদের সম্পর্ক সমৃদ্ধ হয়েছিল। তখন থেকেই আমরা আমাদের বিভিন্ন পন্যের বা বিভিন্ন প্রয়োজনিয় মার্কেটিং টা ডিজিটাল উপায়েই শুরু করেছিলাম। অনলাইনেই আমরা সবার কাছে পৌছাতাম আমাদের পন্যের বিজ্ঞাপন এবং আমাদের যে কোন ইভেন্ট। তবে তখন এআই এর সুবিধা ছিল না। ছিল না কেম্পেইন এবংম বুস্টিং এর সুবিধা। সেজন্যই আমাদের মার্কেটিং এর জন্য আমরা ডিজাটাল মার্কেটিং এর এক্সপার্টদের হায়ার করে নিতাম।
কিন্তু সময়ের সাথে সাথে ইন্টারনেটের উন্নতি বা আপডেটে এখন এআই তৈরি হয়েছে, যে মানুষের থেকেও নিক্ষুত ভাবে তথ্য সংগ্রহ করতে সক্ষম। একই সাথে মানুষের কাজ করতে ও পারে। বিশেষ করে পর্যবেক্ষন এবং মেসেজ থেকে শুরু করে কখনো কখনো অর্ডার কনফর্ম করার কাজেও আমরা বিভিন্ন অটো প্রগ্রাম বা টুলস ব্য়বহার করে থাকি।
সেদিকে লক্ষ করলে দেখা যায় যে আগের মতো এখন আর ডিজিটাল মার্কেটিং শেখার প্রয়োজন পরে না। আবার হাজার ডিজিটাল মার্কেটার মিলে যে কাজ করতে পারতো, সেটি এখন একটি মাত্র ১০ ডলারের রোবটিক টুলস নিক্ষুত ভাবে করতে সক্ষম। এখানে আর্থিক ও বেশ সঞ্চয় দেখা যায়। আবার ১০০০ মানুষের কাছে একটি বিঞ্জাপন পৌছাতে সময় লাগতে বেশ কয়েক দিন পর্যন্ত।
এবং হজার জনের কাছে পৌছাতে প্রয়োজন হতো হাজার জনের পছন্দের সমন্ধে আগেই ধারনা নেওয়া। ফলে তাদের কাছে উপযুক্ত মার্কেটিং করা যেত। সেই সাথে মানুষের মনের চাহিদা বা পন্যের প্রতি ইচ্ছে প্রতিদিন একই রকম থাকে না। যেখানে মার্কেটারের কাছে থাকা তথ্যের পরিবর্ত করতে হবে, কিন্তু এটা তখন কঠিন কাজ ছিল।
আর এই দির্ঘ সময় ধরে কাজ করে মানুষের কাছে পৌছানোর জন্য বেশ চড়া টাকা খরচ করতে হতো প্রতিটি মার্কেটারের জন্য। এদিকে বর্তমান সময়ে সেটি মাত্র ১ ডলারেই ফেসবুক ৩-৭ হাজার মানুষের কাছে পৌছাতে সক্ষম। আবার প্রতিটি মুহুর্তের পছন্দ সমন্ধে ডেটা আপডেট করতে সক্ষম ফেসবুক রোবট। ফলে আগের তুলনায় এটি আরো বেশি কার্যকারিতা পাবে।
এই সকল বিষয়ে লক্ষ করলে দেখা যাচ্ছে আগের তুলনায় বেশ সহজ হয়ে এসেছে মার্কেটিং। এবং খরচ হ্রাস পাচ্ছে, ফলে মার্কেটারদের ইনকাম ও কমে যাচ্ছে। এদিকে রোবটিক সিস্টেমের ব্যবহার বেড়ে যাওয়ায় মার্কেটারের চাহিদাও কমে যাচ্ছে। ফলে বলা চলে এই বর্তমান সময়ে ডিজিটাল মার্কেটিং শেখাটা লস প্রজেক্ট হতে পারে। অপরদিকে অল্প খরচেই মার্কেটিং করার জন্য সার্ভিস কোম্পানিগুলো বেশি আগ্রহী হচ্ছে।
২০২৫ এ কিভাবে ডিজিটাল মার্কেটিং থেকে ইনকাম করা যাবে
দেখুন, রাস্তা একটা বন্ধ হলে মানুষ কখনোই থেমে থাকবে না। বরং মানুষ তার বিকল্প রাস্তার খোজ ঠিকই বের করে নিবে। আর বিকল্প রাস্তার মাধ্যমে তারা তাদের জীবনকে অগ্রসর করবে।
ঠিক ২০২৫ এ এসে যখন আমাদের ডিজিটাল মার্কেটিং সিস্টেম তলানিতে নেমেছে। ঠিক এই সময়ে আমাদের বিকল্প কোন না কোন রাস্তা খুজে বের করতেই হচ্ছে। আর সেদিকে লক্ষ করলে আমাদের সামনে আসতেছে ভালো বুস্টিং কোম্পানি কোনটি বা কোথায় ক্যাম্পেইন করলে আমরা ভালো ফলাফল পাবো। তার সাথে বলা হয় কন্টেন্ট ই কিং। মানে যার কন্টেন্ট ভালো, তার ব্যবসা ও ভালো, তার মার্কেটিং ও ভালো।
এজন্যই ২০২৫ এ যখন আমরা ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে ইচ্ছে প্রকাশ করি, তখন আমাদের প্রয়োজন হবে, সঠিক বা টার্গেটিক কাস্টমার নির্ধারন করতে শেখা। সঠিক মাধ্যমেই উপযুক্ত পন্যের মার্কেটিং করা। অল্প খরচেই ভালো প্রফিটের কথা মাথায় রেখে মার্কেটিং করা। বাজারের সাথে সদৃশ্য রেখে মার্কেটিং করা।
কিভাবে ডিজিটাল মার্কেটিং এর কাজ পাওয়া যায়
দেখুন, ডিজিটাল মার্কেটিং এর কাজ বর্তমানে বড় বড় কোম্পানিগুলো গিলে খেয়েছে। এমন কি ডিজিটাল মার্কেটিং এর জন্য প্রয়োজনীয় কন্টেন্টগুলো ও এখন বড় বড় কোম্পানির বটে তৈরি করে।
এখানে তারা অল্প পরিমানে ফ্রিতে করার সুযোগ করে দেয়। এবং বেশি করতে হলে তাদের সার্বিসগুলো পারসেচ করতে হবে। এখানে ছোট সকল কোম্পানিকে তারা বার্থ করে ফেলে। আর বড় বড় সার্ভিসের মাঝে মাঝে ছোট খাটো ফ্রি সার্ভাসে তেমন কোন ক্ষতি হয় না। বরং এতে তাদের বিশ্বস্ততা বেড়ে যায়।
এই মূহুর্তে আপনি যদি ডিজিটাল মার্কেটিং থেকে ভালো প্রফিট করতে চান, তাহলে আপনার প্রয়োজন হবে নিজের পন্য বা সার্ভিস নিয়ে কাজ শুরু করা। কন বর্তমান সময়ে আপনি ডিজিটাল মার্কেটিং এর জন্য অপেক্ষা করলে শুধু মাত্র সময় ই লস হতে থাকবে। এখন আপনার প্রয়োজন হবে নিজের কাজে এই মার্কেটিং শিক্ষাকে ব্যবহার শুরু করা।
নিজের ব্যবসা কিভাবে শুরু করা যাবে
নিজের ব্যবসা শুরু করার জন্য প্রাথমিক কিছু ধাপ রয়েছে। যেহেতু এটি ব্যবসা শুরু করার বিষয়ে পোস্ট নয়। লতাই এখানে সেই ধরনের তথ্য শেয়ার করছি না। তবে কিছুটা তথ্য শেয়ার করবো।
ব্যবসা শুরু করার জন্য প্রাথমিক ভাবে ব্যবসার জন্য আইডি করা এবং পন্য নির্ধারন করা অতি গুরুত্বপূর্ন। তবে অনেক ক্ষেত্রেই এই পন্য নির্ধারন করার জন্য ভয় পায়। আসলে সবাই ই কোন না কোন পন্যের মাধ্যমে ব্যবসা করে যাচ্ছে। সেখানে আপনিও টিকে থাকলে আপনার ও যে কোন পন্যের ব্যবসা করতে পারেন।
এখানে অনেকে ইনভেস্ট করতে ভয় করে, আবার কখনো কখনো দেখা যায় বেশি টাকা ইনভেস্ট করতে পারেন না। তাদের জন্য দেখা যায় ফেসবুকে বিভিন্ন জন তাদের পন্য বিক্রি করার মাধ্যমে কমিশন দেয়। আবার রিসেলিং একাউন্ট করে সেখান থেকেও পন্য নিয়ে কাজ শুরু করতে পারেন।
ডিজিটাল মার্কেটিং এর লাভ কি রকম
দেখুন আগের মতো লক্ষ লক্ষ টাকা এখন আর ইনকাম করা যায় না। তবে আবার একেবারেও কম টাকা আয় হবে না। সেজন্য প্রথম দিকে একটু কষ্ট করতে হবে এবং সেখানে ধর্য্য ধরে কাজ করতে হবে।
তবে যদি আপনিও নিজের পন্য বা নিজের ব্রান্ড নিয়ে মার্কেটিং করতে থাকেন, তাহলে বেশ ভালো ইনকাম করতে পারবেন। এখানে পন্যের জন্য যে কোন মাধ্যম ব্যবহার করতে পারেন।
ডিজিটাল মার্কেটিং শেখার উপায় কি
অনেক সময় দেখবেন বেশ চড়া দামে ডাজিটাল মার্কেটিং এর বিভিন্ন কোর্স বিক্রি করে। এরকম সকল কোর্স করে এই সময়ে টাকা লস করার প্রয়োজন হয় না। কারন এখন এই সকল শিক্ষা ইউটিউব থেকেও পাওয়া সম্ভব। আর এই ভিডিও দেখেই শিখে কাজ করতে পারবেন।
এমন অবস্থায় ৫-১০ হাজার বা তার থেকে বেশি টাকায় কোর্স কিনে সেখান থেকে কাজ শুরু করতে গেলে সেটি লসের কারন হতে পারে।
